বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ বলেন বাংলাদেশ বিশ্বের একটি সম্ভাবনাময় দেশ। কিন্তু যোগ্য মানুষের অভাবে কতিপয় দুর্নীতিবাজ অসৎ কর্মকর্তার কুকর্মের প্রভাবে আমরা আমাদের প্রিয় স্বদেশকে কাংখিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছি। তাছাড়া আমাদের ভূ অভ্যন্তরে যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ বিরাজমান আছে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন তা যোগ্য লোকের অভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। যার দরুন প্রতি বছর মেধার শীর্ষে থাকা সেসব শিক্ষার্থী ঐ সব দেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে আর ফিরে না আসায় আমাদেরকে তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। তাছাড়া রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে সম্ভাবনাময় মেধাবীরা দেশের উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে গিয়ে বিপদগ্রস্থ হয়ে মা বাবার আজন্ম লালিত স্বপ্ন বিনষ্ট করে দিচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিবেশে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঠিক পথ নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে একটি সৎ, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্রশিবির নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আজ মেধাহীন সন্ত্রাস নির্ভর ছাত্র রাজনীতির বিপরীতে ছাত্রশিবির এদেশের ছাত্র সমাজের কাছে সন্ত্রাসমুক্ত মেধাবীদের একমাত্র ঠিকানা হিসেবে পরিণত হয়েছে। মুখে স্বাধীনতার চেতনার ফেনা তুলে যারা বাংলাদেশকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দিতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে এদেশকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য তিনি দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মেধাবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের উদ্যোগে এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (০৬.০৫.’১৮) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর সেক্রেটারী আ স ম রায়হান’র পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিবির নেতা কামাল হোনাইন, আমান উল্লাহ, রায়হান এম কায়সার, আহসান উল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা মেধাবীদের পড়ালেখার পাশাপাশি আদর্শিক জ্ঞানে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গঠনে মনোনিবেশ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। শেষে অতিথিবৃন্দ কৃতি ছাত্রদের হাতে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে তাদের অর্জিত মেধার স্বীকৃতি ভবিষ্যতেও ধরে রাখার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।